বাংলাদেশের পর্বোতারোহী মুসা ইব্রাহীম ও তার দুই সঙ্গী ওশেনিয়া অঞ্চলের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ইন্দোনেশিয়ার কার্সটেনজ পিরামিডে অভিযান শেষে ফেরার পথে বিরূপ আবহাওয়ায় বেইজ ক্যাম্পে আটকা পড়েছেন।
এভারেস্টজয়ী মুসার সঙ্গে আছেন ভারতের এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহী সত্যরূপ সিদ্ধান্ত ও নন্দিতা চন্দ্রশেখর। তাদের এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ এক্সপেডিশন টু মাউন্ট কার্সটেনজ পিরামিড’।
মুসা ইব্রাহীমের পর্বতারোহণ সংগঠন নর্থ আলপাইন ক্লাবের সদস্য রাফা উদ্দিন জানান, সামিট সফলভাবে শেষ করে ১৩ জুন বেইজ ক্যাম্পে পৌঁছান মুসারা। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে ১৪ তারিখ থেকে তারা সেখানেই আটকে আছেন এবং তাদের খাবারও ফুরিয়ে গেছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম রোববার ভোরে ফেসবুকে জানান, ওই দলের এক ভারতীয় অভিযাত্রীর স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মুসার সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়েছে।
“আমাদের দূতাবাস একটু আগে জানিয়েছে, তিমিকাতে হেলিকপ্টার প্রস্তুত আছে। আবহাওয়া ভালো হলেই তারা তাদের আনতে যাবে। আসিয়ান দপ্তর, আমাদের দূতাবাস এবং ভারতীয় দূতাবাস তদারকি করছে।”
মুসার স্ত্রী উম্মে সরাবন তহুরা রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বলেন, সোয়া ১০টার দিকে মুসার সঙ্গে তার স্যাটেলাইট ফোনে যোগাযোগ হয়েছে। মুসা জানিয়েছেন, সকালে একবার হেলিকপ্টার রওনা হলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে ফিরে গেছে। সত্যরূপের স্যাটেলাইট কমিউনিকেটরের রেকর্ড অনুযায়ী, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ২৫০ ফুট উচ্চতায় অবস্থান করছেন তারা।

পর্বতারোহী রেইনল্ড মেসনারের তালিকা অনুসারে সাত মহাদেশের সাত সর্বোচ্চ পর্বত চূড়ার (সেভেন সামিট) একটি হল কার্সটেনজ পিরামিড। ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রভিন্সে কার্সটেনজ পর্বতমালায় ৪ হাজার ৮৮৪ মিটার উঁচু ওই শৃঙ্গ স্থানীয়ভাবে পুঞ্চাক জায়া নামেও পরিচিত।
এই অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য ২৯ মে ইন্দোনেশিয়ার বালি হয়ে পাপুয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন মুসা ইব্রাহীম। বালিতে তার সঙ্গে যোগ দেন সত্যরূপ ও নন্দিতা। পাপুয়া নিউগিনির নাবির থেকে শুরু হয় মূল অভিযান। সূত্র: বিডিনিউজ