মৌ-মাছির গুঞ্জনে মুখরিত চলনবিল
ঋতুর পালা বদলে শীতের আগমনী বার্তায় চলনবিলের মাঠে মাঠে এখন সৌন্দর্য্যমন্ডিত হলুদ...
বিস্তারিতযারা বিশ্ববিখ্যাত, তাদের প্রত্যেকেরই সাফল্যের পিছনে কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে। আইনস্টাইনের সাফল্যের পিছনে কারণ হিসেবে পাওয়া যায়, তিনি তার নিজের ভুল গুলো সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন ছিলেন।
১৯২১ সালে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে বিশেষ অবদান এবং বিশেষত আলোক-তড়িৎ ক্রিয়া সম্পর্কিত গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন আইনস্টাইন। ১৯৩৫ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে তাকে ডাকা হল লেকচার দেয়ার জন্য। নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানীর দৈনন্দিন জীবন যাপন নিয়ে সবার রহস্যের শেষ নেই।
ওই ইউনিভার্সিটিতে তাকে প্রশ্ন করা হল, 'পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য আপনার কী কী দরকার?' আইনস্টাইনের জবাব ছিল, 'একটা ডেস্ক, কিছু কাগজ আর একটা পেনসিল। সঙ্গে দরকার বড় একটা ডাস্টবিন, যেখানে আমার সব ভুল করা বা ভুলে ভরা কাগজগুলো ফেলব!' আইনস্টাইন তার সেদিনের এই উত্তরের মাধ্যমে এটাই প্রমাণ করেছিলেন, বিখ্যাত হতে চাইলে নিজের ভুল ধরার ক্ষমতাও থাকতে হবে।
ভুল জমানোর জন্য ডাস্টবিন ব্যবহার করলেও ভুল তথ্য সংগ্রহ করে নিজের মস্তিষ্ককে ডাস্টবিনে পরিণত করতে নারাজ ছিলেন তিনি। তার প্রমাণ পাওয়া যায় কিছু ঘটনায়। একবার এক সহকর্মী আইনস্টাইনের কাছে তার টেলিফোন নাম্বার চাইলেন। আইনস্টাইন টেলিফোন বুক বের করে নাম্বারটা খুঁজতে লাগলেন। সহকর্মী অবাক, যে ব্যক্তির মাথায় এত এত বিজ্ঞানের সূত্র গণিতের সূত্র ঘুরপাক খাচ্ছে, তার মাথায় নিজের টেলিফোন নাম্বারটা নেই! জিজ্ঞাসাই করে বসলেন, 'কী ব্যাপার, নিজের টেলিফোন নাম্বারটাও মনে নেই আপনার?' আইনস্টাইনের জবাব, 'না। তার দরকারই বা কী? যেটা আপনি বইতে পাবেন, সে তথ্যটা মুখস্থ করে মস্তিষ্ক খরচ করবেন কেন?'
নিজের মস্তিষ্ক বাজে ভাবে খরচ করত না বলেই হয়তো তিনি আজ বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানী। বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানীদের উপর করা এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, তাকে প্রায় সবাই সর্বকালের সেরা পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। দৈনন্দিন ব্যবহারে মেধাবী এবং প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন কাউকে বা কোনো কিছুকে বুঝাতে এখন 'আইনস্টাইন' শব্দটি ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ এটি মেধার সমার্থক।
মোবাইল থেকে খবর পড়তে অ্যাপস ডাউনলোড করুন