মুজিববর্ষ উদযাপন করবে ইউনেস্কো
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) আগামী বছর বাংলাদেশের সঙ...
বিস্তারিতডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটিং তাণ্ডবের পর ভয়ঙ্কর মিচেল স্টার্কের সামনে পড়ে উড়ে যেতে যেতেও কিছুটা লড়াই করেছিল পাকিস্তান। তাতেও বিপদ কাটল না। দ্বিতীয় টেস্টেও ইনিংস ব্যবধানে হার।
ব্রিসবেনে ইনিংস ও ৫ রানে পরাজয়ের পর এডিলেডে পরাজয়ের ব্যবধানটা আরো বড়। দিন-রাতের টেস্টে সোমবার চতুর্থদিনে তৃতীয় সেশনের শুরুতেই হার নিশ্চিত হয় ইনিংস ও ৪৮ রানে। ম্যাচ শেষ হয় একদিন বাকি থাকতেই। এরমধ্যে দিয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে ২-০তে হেরে হোয়াইটওয়াশ পাকিস্তান।
দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করে সিরিজে ভালো কিছু করার আভাস দিয়েছিল পাকিস্তান; আসল খেলায় তার ছিটেফোঁটাও নেই। এমনিতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ‘পাকিস্তান জেতে না’ এমন একটা কথা ক্রিকেট বিশ্বে প্রচলিত আছে। সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে সিডনি টেস্টে স্বাগতিকদের হারিয়েছিল ওয়াসিম আকরামের পাকিস্তান। গত প্রায় ২০ বছরে অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্টে জয় নেই তাদের।
এবারের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে সেই ধারণা পাল্টানোর আভাস দিয়েছিলেন আজহার আলির দলের ব্যাটসম্যানরা। ফলাফল পাল্টাল না যদিও। দুটো টেস্টেই ইনিংস ব্যবধানে হার। ২৮৭ রানে পিছিয়ে থেকে ফলোঅন করতে নেমে পাকিস্তান অলআউট হয়েছে ২৩৯ রানে। প্রথম ইনিংসে পেসাররা আধিপত্য বিস্তার করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অজি স্পিনার নাথান লায়ন নেন ৬৯ রানে ৫ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের অপরাজিত ৩৩৫ ও মার্নাস লাবুশেনের ১৬২ রানে ভর করে ৩ উইকেটে ৫৮৯ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে অজিরা। জবাব দিতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। মিডলঅর্ডারে বাবর আজম ৯৭ রানের ইনিংস আর ৮ নম্বরে নামা ইয়াসির শাহের চমক দেখানো সেঞ্চুরিতেও (১১৩) ফলোঅন এড়াতে পারেনি মিসবাহর শিষ্যরা।
৩০২ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅন করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে করে তারা ২৩৯ রান। ওপেনার শান মাসুদ ৬৮, আসাদ শফিক ৫৭ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান অপরাজিত ৪০ রান করেন। ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি করে ম্যাচ সেরা ডেভিড ওয়ার্নার।
এই জয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে অনেকটা এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। ভারতের সমান ৭ ম্যাচ খেলে টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে টিম পেইনের দল। অন্যদিকে ২ ম্যাচ খেলে পাকিস্তানের পয়েন্ট শূন্য।
মোবাইল থেকে খবর পড়তে অ্যাপস ডাউনলোড করুন