১ বাবা, ২৭ মা, ১৫০ ভাইবোনের বিশাল পরিবারের
কানাডার অন্যতম পরিচিত বহুগামী ব্যক্তি উইনস্টোন ব্ল্যাকমোর। ৬৪ বছরের এই ব্যক্তির...
বিস্তারিতরাজধানীর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে কর্মচারীদের ধাস্তাধস্তি ও মারধরে পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় শ্যামলীতে উপপুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়া সিসিটির ভিডিও ফুটেজ আলামত হিসেবে উদ্ধার করেছে পুলিশ। যেখানে দেখাযায়, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে টেনে-হিঁচড়ে ও ধস্তাধস্তি করে একটি কক্ষে নিয়ে যায় হাসপাতালের ছয় স্টাফ। দ্বিতীয় তলার ওই কক্ষে নেওয়ার পর তাকে মেঝেতে উপুর করে চেপে ধরা হয়। তাকে সেখানে ধস্তাধস্তির সময় মারধরও করা হয়। ধস্তাধস্তির ঠিক ৪ মিনিটের মাথায় একেবারে নিস্তেজ হয়ে যান পুলিশ কর্মকর্তা।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, হাসপাতালে ঢোকার পরই আনিসুল করিমকে ৬ থেকে ৭ জন টেনে-হেঁচড়ে একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। হাসাপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মাথার দিকে থাকা দুইজন হাতের কনুই দিয়ে আনিসুল করিমকে আঘাত করছিলেন। এ সময় একটি কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুল করিমের হাত পেছনে বাঁধা হয়। চার মিনিট পর তাকে যখন উপুড় করা হয়, তখনই ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে ওই ঘটনায় সম্পৃক্ততার দায়ে ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে শেরেবাংলা থানা পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে হাসপাতালের ব্যবস্থাপকও রয়েছেন।
উল্লেখ্য, নিহত আনিসুল করিম ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। সর্বশেষ তিনি বরিশাল মহানগর পুলিশে ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তিনি এক সন্তানের জনক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন তিনি।
মোবাইল থেকে খবর পড়তে অ্যাপস ডাউনলোড করুন