আরও এক মহামারির আশঙ্কা, আফ্রিকায় জন্ম নিচ্ছে নতুন...
আরও একটি মহামারি তোলপাড় করতে পারে গোটা বিশ্বকে এমন এক আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন ই...
বিস্তারিতযমুনা নদীর ওপর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২৯ নভেম্বর) গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিডিও কনফারেন্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখবেন।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর পর থেকে ২২ বছর ধরে সেতু দিয়ে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে রেল পারাপার হয়ে আসছে। এবার বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নির্মিত হচ্ছে ডাবল লেনের ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেল সেতু।
১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ চালু হয়। প্রথমে ব্রডগেজ ও মিটারগেজের চারটি ট্রেন দৈনিক আটবার পারাপারের পরিকল্পনা থাকলেও যাত্রী চাহিদা বাড়তে থাকায় সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়। ওই বছরের ২৩ জুন থেকে আজ পর্যন্ত সেতুটিতে রেলগাড়ি চলছে ঠিকই; তবে তা ঢিমেতালে, কোনোমতে।
২০০৮ সালে সেতুটিতে প্রথমবার ফাটল দেখা দেয়। এরপর থেকে এতে রেল চলাচলের গতিও কমিয়ে আনা হয়। এখন সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার গতিতে এই সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল করে। প্রতিদিন ২২টি ট্রেন চলার কথা থাকলেও এখন চলে ৪৪টি ট্রেন অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই।
মূল সেতু দুটি প্যাকেজের অধীনে নির্মিত হবে। পূর্ব ও পশ্চিম অংশের নকশা ও অবকাঠামো কাজের জন্য যথাক্রমে ওবায়াশি-টোয়া জেএফই, জাপান এবং আইএইচআই-এসএমসিসি জেভি, জাপান- এর সঙ্গে দুটি পৃথক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চুক্তি অনুসারে চলতি বছরের জুলাইয়ে উভয় ঠিকাদারের কাছে জমি হস্তান্তর করা হয়েছে। নতুন সেতুর ওপর দিয়ে ব্রডগেজ লাইনে ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার এবং মিটার গেজ লাইনটিতে ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে রেল চলতে সক্ষম হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মিত হলে ৮৮ টি রেল চলাচল করতে সক্ষম হবে। প্রকল্পটি ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
ঠিকাদারদের স্থানীয় কর্মীরা এখন নির্মাণের জায়গাটি প্রস্তুত করছে, সাইটটিকে বেড়া দিচ্ছে এবং শ্রমিকদের আবাসন সুবিধা তৈরি করছে। ইয়ার্ড নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি ভূমি-সংক্রান্ত বিরোধ ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে। ৯ হাজার ৭ শ’ ৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকার অনুমোদিত প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৭ হাজার ৭ শ’ ২৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) থেকে প্রকল্প সহায়তা হিসাবে এবং ২ হাজার ৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকারের তহবিল থেকে আসবে। এই ডুয়েলগেজ ডাবল-ট্র্যাক সেতুটি দেশের বৃহত্তম ডেডিকেটেড রেল সেতু হবে।
২০২৪ সাল নাগাদ এই প্রকল্পটি সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন নীতিনির্ধারকরা। এর ফলে শুধু অভ্যন্তরীণ রেলব্যবস্থাই নয়, সার্ক বিমসটেকসহ আঞ্চলিক উপ-আঞ্চলিক এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সুবিধাও পাবে দেশের মানুষ। পাশাপাশি আর্থিকভাবেও নতুন সম্ভাবনা হবে এই কৌশলগত স্থাপনাটি।
মোবাইল থেকে খবর পড়তে অ্যাপস ডাউনলোড করুন