১ বাবা, ২৭ মা, ১৫০ ভাইবোনের বিশাল পরিবারের
কানাডার অন্যতম পরিচিত বহুগামী ব্যক্তি উইনস্টোন ব্ল্যাকমোর। ৬৪ বছরের এই ব্যক্তির...
বিস্তারিতকরোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখের বেশি মানুষের। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা বলছেন-নারীপ্রধান দেশগুলোর তুলনায় পুরুষশাসিত দেশে মৃত্যু প্রায় সাড়ে চার গুণ বেশি। খবর- ডেইলি মেইলের।
ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিন পরিচালিত বিশেষজ্ঞদের আন্তর্জাতিক একটি টিম ৩৫টি দেশের ওপর এই গবেষণা চালিয়েছে। এর মধ্যে ১০টি দেশ নারীশাসিত।
এসব দেশের মধ্যে জার্মানি, নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ডের মতো দেশ রয়েছে। করোনা মোকাবিলায় এই চারটি দেশের নেতৃত্ব ইতোমধ্যেই বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, নারীশাসিত দেশের তুলনায় পুরুষশাসিত দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ছয়গুণ বেশি। মাথাপিছু মৃত্যুর হিসাবেও নারীশাসিত দেশে মৃত্যু ১.৬ গুণ কম।
করোনায় প্রতি ১০ লাখে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে পুরুষশাসিত দেশে। অথচ নারীশাসিত দেশে এই সংখ্যাটা ৪.৩ জন। আবার নারীশাসিত দেশগুলো খুব দ্রুতই মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। এমনকি দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাটাও কম রাখতে পেরেছে।
গবেষণা বলা হয়, পুরুষশাসিত দেশের তুলনায় নারীশাসিত দেশগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে লকডাউন দিয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো জনস্বাস্থের চেয়ে অর্থনীতিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, নারীশাসিত দেশগুলোতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমতাও অনেক ভালো। এসব দেশ জাতীয় নীতিতে মানুষের প্রয়োজন ও উদারতাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
গবেষণায় নারীশাসিত ১০টি দেশ হচ্ছে- বেলজিয়াম, ডেনমার্স্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, গ্রিস, আইসল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে ও তাইওয়ান।
আর পুরুষশাসিত ২৫টি দেশ হচ্ছে- অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ক্রোয়েশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েডর, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, ইসরায়েল, ইতালি, জাপান, লিথুনিয়া, লুক্সেমবার্গ, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডস, রোমানিয়া, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
মোবাইল থেকে খবর পড়তে অ্যাপস ডাউনলোড করুন